আবদু সালাম কাকলী, মহেশখালী ::
পত্রিকায় কর্মরত একজন আদর্শবান সাংবাদিক বা রিপোর্টারকে জাতির বিবেক বা দর্পন বলা হয়। পত্রিকা হচ্ছে দেশের চতুর্থ স্তম্ভ্য। জাতি যখন ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখন কোন উপায় না দেখে শেষ সম্বল বা শেষ আশ্রয় স্থল হিসেবে সাংবাদিকের কাছে ছুটে যায়। কিন্তু ঐ সাংবাদিক কে কর্মরত হতে হবে একজন একাডেমিক সার্টিফিকেট ধারী সম্পাদক দ্বারা পরিচালিত পত্রিকার। তা না হয়ে একাডেমিক সার্টিফিকেট বিহীন পানের দোকানদার, লবণ শ্রমিক দ্বারা পরিচালিত পত্রিকা হলে ঐ সাংবাদিক থেকে জাতি এবং দেশ কোন কিছু আশা করতে পারে না। কারণ সার্টিফিকেট বিহীন পত্রিকার মালিক একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন সম্পর্কে অজ্ঞ বিধায় ঐ পত্রিকার মালিক কর্মরত সাংবাদিকদের সঠিক দিক নির্দেশনা দিতেও ব্যর্থ। তাই সার্টিফিকেট বিহীন মালিক দ্বারা পরিচালিত পত্রিকায় কাজ করলে শিক্ষিত সাংবাদিকরাও অজ্ঞ হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে ইতি টানতে গিয়ে আমি কলম ধরছি ১৪ বছর একটানা যার অতি কাছে ছিলাম এবং শিখেছি ও দেখেছি ঐ আদর্শবান মানুষটিকে নিয়ে। তিনি হচ্ছেন মগনামা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন এমন আদর্শবান ব্যক্তি দৈনিক কক্সবাজারের সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল ইসলামের আদর্শকে নিয়ে। ঐ আদর্শবান ব্যক্তির পত্রিকা ডেস্কে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিক এ্যডভোকেট তোফায়েল আহমদ, প্রিয়তোষপাল পিন্টু, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, আব্দুলকুদ্দুচ রানা, ফরিদুল আলম শাহিন ও দৈনিক কক্সবাজারের পরিচালনা সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম এবং আমার সহকর্মী গিয়াস উদ্দিনের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে আমার একটানা ১৪বছর। এ পত্রিকার সমস্ত লেন-দেন আমি নিজের হাতে করতাম। কিন্তু এতে আমার এবং পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকদের বহু ভূল ভ্রান্তিও হয়েছে। তবুও তা দেখেও না দেখার ভান করে আমাকে এবং অন্যান্যদেরকে ঠান্ডা মাথায় আদেশ-উপদেশ দিয়ে বুঝিয়ে দিতেন চলার পথে কোথায় ভূল হয়েছে। কোন অবস্থাতেই এ পত্রিকার সম্পাদক তিল পরিমানও দুঃখ কিংবা রাগ-অভিমান করতেন না। এ পত্রিকা আজ এ ধারায় উত্থান ঘঠাতে সম্পাদক মহোদয়ের বহু ক্লান্তিকাল অতিক্রম করতে হয়েছে। তবুও আমার এ শ্রদ্ধেয় ভাজন মুরব্বি কোনদিন সরকারি অফিসে গিয়ে সম্পাদক পরিচয় দিয়ে সুবিদা আদায় করতে দেখেনি। কোন নেতাকেও তোষামুদ করতে দেখেনি। তাই এ একাডেমিক সার্টিফিকেট ধারী আদর্শবান সম্পাদকের দিক নির্দেশনা মতে গড়ে উঠা সিনিয়র সাংবাদিকদের হাত ধরে মহেশখালী থেকে লিখতেন জয়নাল আবেদীন, কুতুবদিয়া থেকে লিটন কুতুবি, চকরিয়া থেকে জহিরুল ইসলাম, ঈঁদগাও থেকে মাষ্টার গিয়াস উদ্দিন, রামু থেকে টাপু, নাইক্ষ্যং ছড়ি থেকে মাষ্টার মাইনুদ্দিন, উখিয়া থেকে ফারুক ও টেকনাফ থেকে আবুল কালাম সহ নাম না জানা আরো কয়েকজন। দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় যারা কর্মরত ছিলেন বা এখনো কর্মরত আছে তাদের মধ্যে একে অপরের সাথে বর্তমানেও পারষ্পরিক সেতু বন্ধন রয়েছে। এসব সাংবাদিকদের পথ চলা বড়কে সম্মান করা ছোটকে ¯েœহ করা তা এখনো বিদ্যমান। সবকিছু মিলিয়ে শ্রদ্ধেয় মুরুব্বি নুরুল ইসলাম সাহেব শুধু একজন দৈনিক কক্সবাজারের সম্পাদক নন!! তিনি কক্সবাজার জেলার আদর্শবান সিনিয়র সাংবাদিকদের কারিগরও বটে। অপর দিকে দৈনিক সৈকত পত্রিকার সম্পাদক মাহবুবুর রহমানও একজন আদর্শিক ব্যক্তি। এ সম্পাদক থেকেও বর্তমানে কর্মরত সাংবাদিকদের বহু কিছু শিখনীয় রয়েছে বলে আমি মনে করি। কারণ এ শ্রদ্ধেয় মানুষটিও কোনদিন সরকারী অফিসে বা নেতার কাছে গিয়ে সম্পাদক পরিচয় দিয়ে কোন কিছু সুবিদা আদায় করতে দেখেনি। সাফ “মুদ্দা” কথা দৈনিক কক্সবাজারের সম্পাদক ও দৈনিক সৈকতের সম্পাদকের আদর্শমতে অন্যান্য পত্রিকার সম্পদকরা আদর্শিক হলে কক্সবাজার জেলা বাসি স্ব-স্ব পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দ্বারা বিভিন্ন প্রকার হয়রানী ও ক্ষতিগ্রস্থ থেকে মুক্তি পাবে। তাই আসুন আমরা সবাই দৈনিক কক্সবাজার ও দৈনিক সৈকতের সম্পাদকের আদর্শে আদর্শিত হয়ে নিজেই নিজে গর্ব বোধ করি। আমি পরিশেষে দৈনিক কক্সবাজারের সম্পাদক মহোদয়ের সুস্থতা কামনা করছি।
পাঠকের মতামত: